জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। আর প্রতিবেশি দেশটির এ সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে অল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এটি হলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা।
আজ রবিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। রাজধানী দিল্লি, মুম্বাই, লাক্ষনৌয়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কলকাতাতেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে পোর্ট ব্লেয়ারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের সাথে সাথে বাংলদেশেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। আজ বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সেগুনবাগিচা বাজারে আলাপকালে ক্রেতা মিসেস শামসুন নাহার জুমবাংলাকে বলেন, যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে পেঁয়াজ নিয়ে ভারত সরকার বেশ বড় ধরণের রাজনীতি শুরু করেছে। ভারতে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হলে বাংলাদেশে হবে ১৫০। এরকম চলতে থাকলে পেঁয়াজের ঝাঁজে পুরো বাংলাদেশ কাঁদবে।
এদিকে পেঁয়াজের দর নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কম দামে সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার কেজরিওয়াল জানান, রাজ্য সরকার ২৩.৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির করবে। সেই অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ভ্যানে করে সরকারি উদ্যোগে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু দেশের বাকি অংশের পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ছিলো সবচেয়ে বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।