জুমবাংলা ডেস্ক : ১ সপ্তাহের ব্যবধানে মাদারীপুরে আবারও বেড়েছে মাংসের দাম। গরু, খাসি ও মুরগির দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে, বাজারে দেখা নেই দেশি মুরগি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরু গত সপ্তাহের থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির কেজি ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। এদিকে বিভিন্ন ধরনের মুরগির দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগি ছিল ১৬০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালী মুরগি ২০ টাকা বেড়ে টাকা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার ৩০০-৩১০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ টাকা।
সংকট থাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না দেশি মুরগি। মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে মাংসের দাম। এ ছাড়া প্রকারভেদে বিভিন্ন হাটবাজারে আরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস।
মুরগি কিনতে আসা সোহেল মন্ডল বলেন, ‘বাজার করতে এসে পকেটে হাত দিলে কোন দিশা খুঁজে পাই না, সবকিছুর দাম সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ দেখে না, ব্যবস্থাও নেয় না। ক্রেতারা মহাবিপদে আছে।
গরু ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া বলেন, ‘গ্রাম-গঞ্জে গরু কিনতে গেলে বাড়তি দামে কিনতে হয়। তখন আমরা বাধ্য হয়েই বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করি। গোখাদ্যের দাম কমলে, মাংসও কমে যাবে।’
শহরের পুরাণ বাজারের পপি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী রনি খান জানান, মুরগির খাবার দাম প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। গেল সপ্তাহে প্রতি বস্তায় খাবারের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। সে হিসেবে মুরগির দাম তো বাড়বেই। মুরগির খাবারের দাম কমলে, মুরগির দাম এমনিতেই কমে যাবে।
মাদারীপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (মার্কেটিং অফিসার) মো. বাবুল হোসেন জানান, প্রতি মুর্হূতই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথায় মাংস বা অন্য কোন পণ্যের দাম বেশি নিলে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।