সারাদেশে আবারও তাপপ্রবাহ শুরুর আশঙ্কা
জুমবাংলা ডেস্ক : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে দেশের অভ্যন্তরে জ্বলীয় বাস্পের উপস্থিতি বেড়েছে। মেঘমুক্ত পরিস্কার আকাশ এবং রাতের চেয়ে দিনের ব্যাপ্তি বেশি থাকায় সূর্য়ের কিরণ খাড়াভাবে পড়ায় ভূপৃষ্ট তাপ শোষণ বেশি করছে। ফলে মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে সারাদেশে আবারও তাপপ্রবাহ শুরুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মে মাসের আগামী ১০ দিন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
বড় ধরনের আশঙ্কা ও উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে রবিবার (১৪ মে) সন্ধায় ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়ে। গভীর নিম্নচাপ হিসেবে মোখা আরও উত্তর- উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার রাতেই মিয়ানমারের সিটুয়ে আঞ্চলের অভ্যন্তরে অবস্থান করে। মোখা বর্তমানে গুরুত্বহীন এক লঘুচাপ আকারে সেখানেই অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের উপকূল বা বঙ্গোপসাগরে মোখার আর কোনো প্রভাব নেই। ফলে চার সমুদ্র বন্দরের জন্য জারি করা ৩ নম্বর সর্তক সংকেত সোমবার প্রত্যাহার করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো: ডক্টর আবুল কালাম মল্লিক বলছেন, ঘুর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় হলেও মুলত তিনটি কারণে ব্যাপক বিধ্বংসী রূপ ধারণ করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ ছিল, মোখার কেন্দ্রভাগ উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় জোয়ার ছিল। একইসাথে সক্রিয় ছিল পশ্চিমা বাতাস। ফলে মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রতিঘন্টায় গড়ে ১৮০ থেকে ২১৫ কিলোমিটারে উঠা-নামা করলেও জোরালো হতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, সর্বপরি যে কোন ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ডানপাশে বাতাসের গতি থাকে। সে হিসেবে অতিপ্রবল ঘুর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ডান দিকে মিয়ানমার থাকায় কক্সবাজার টেকনাফ এর তুলনায় মিয়ানমার অংশে বাতাসের গতি ঝড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাস সবই বেশি হয়েছে মিয়ানমারের অংশে। সবমিলিয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হলেও মোখা বিধ্বংসী হতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।