আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ত্রীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তার ফলোয়ার সংখ্যাও অনেক। সেটা দেখে স্বামীর সন্দেহ হয়, স্ত্রী তাকে ঠকিয়ে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে হয়তো।
সেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে এক যুবক। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সী আয়াজ আহমেদ কাজ করেন অনলাইন ফুড কম্পানির ডেলিভারি বয় হিসেবে। তার স্ত্রী ২২ বছর বয়সী রেশমা মাগলানি দুই বছর আগে একই সংস্থায় কাজ করতেন।
সে সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন বাড়ি থেকে পালিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন তারা। তাদের তিন মাসের এক বাচ্চাও রয়েছে। পরে তাদের বিয়ে মেনে নেয় দুই পরিবারের লোকজন। মুসলিম মতে আবারো বিয়ে হয় তাদের।
পুলিশ জানিয়েছে, রেশমা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়। ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। নিয়মিত নিজেদের জীবনযাত্রার ছবি পোস্টও করতেন তারা।
কিন্তু সম্প্রতি আয়াজ সন্দেহ করতে থাকেন, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠছে স্ত্রীর। তা নিয়ে মাঝে মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। রেশমার ফোন নিয়ে কী বার্তা চালাচালি হচ্ছে তাও দেখতে চাইতেন আয়াজ। এই ঝামেলার জেরে বাপের বাড়ি ফিরে যান রেশমা।
গত রবিবার রেশমাকে বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতে যান আয়াজ। মতানৈক্য দূর করা ও এক সঙ্গে বসে বিয়ার খাওয়ার অছিলায় তাকে বাড়ি আসার কথা জানান। তার পর স্কুটি করে স্ত্রীকে জয়রাইডে নিয়ে যান। পথেই ভারী পাথর দিয়ে রেশমার মুখ থেঁতলে দেন। তার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
পরের দিন রেশমার মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় আয়াজকে। পুলিশ জানিয়েছে, আয়াজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।