ব্লকচেইন সামাজিক মাধ্যম নেটওয়ার্কিং এর জগতে Decentralized Platform এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এর ফলে চাহিদা অনুযায়ী সামাজিক মাধ্যম সম্পর্কিত অ্যাপ তৈরি খুব সহজ হয়ে যায়।
এটা কোন কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে না বিধায় কেন্দ্রীয় সিস্টেম থেকে বাইরে অবস্থান করতে সক্ষম। ডাটা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক মাধ্যমের সব ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত থাকতে পারে।
ব্লক নির্ভর সামাজিক মাধ্যম বন্ধুদের সাথে মেসেজ আদান প্রদান করা, ব্লগিং, সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব। ব্লকচেইন সোশ্যাল মিডিয়া সিস্টেম এ কনটেন্ট কন্ট্রিবিউটর হিসেবে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
WEB 2.0 প্রযুক্তিতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তথ্য গ্রহণে অসমতা, তথ্য নিয়ন্ত্রণ, কপিরাইট, প্রাইভেসি, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এজন্য WEB 3.0 তে এসব সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং যিনি কনটেন্ট উৎপাদন করবেন তার অধিকার এর পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব।
এটি নতুন ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অটোমেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং WEB 3.0 প্রযুক্তির মূল ক্ষেত্র।
ফেসবুক টুইটারের মতো সোশাল মিডিয়ায় অনেক কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয় ব্যবহারকারীদের। ফলে সামান্য একটু ভুল করলেই শাস্তি পেতে হয়। সামাজিক মাধ্যমের কেন্দ্রীয় সিস্টেমের এটাই সমস্যা।
WEB 3.0 ব্লকচেইন এর সামাজিক মাধ্যম প্রযুক্তিতে ব্যবহারকারীদের ক্ষমতা নিজের হাতে থাকবে বলে সে স্বাধীনভাবে সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম। এর ফলে ব্যক্তিকে কোন কোম্পানির কঠিন নিয়ম মেনে চলার বাধ্য-বাধকতা থাকবে না।
সামাজিক মাধ্যমে WEB 3.0 এর শীর্ষ ৫টি Trend
BAAS: ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে এটিকে নতুন Trend হিসেবে ধরা হয়। ডিজিটাল পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে এখানে কাস্টমাররা ক্লাউড নির্ভর সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন। দৈনন্দিন জীবনের ব্যাংকিং এবং আর্থিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে ব্লক চেইনের এই প্রযুক্তি বেশি কার্যকর।
Flux: WEB 3.0 টেকনোলজিতে এটিকে ডাটার স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ডাটা নিরাপদে রাখার জন্য এবং নিরাপদে এক্সেস করতে হলে এই প্রযুক্তি বেশ কাজে দেয়। ওয়েব থ্রি সম্পর্কিত বিভিন্ন অ্যাপস ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
The Semantic Web: এটি অনেক ডাটার সমন্বয়ে তৈরি ওয়েব নিয়ে কাজ করে। ডাটার উপর Apply করা যায় এরকম সব ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে Semantic Web কাজ করে।
NFT: ডিজিটাল পণ্য সংগ্রহ করা এবং ক্রয়-বিক্রয় এর ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো-কারেন্সি এর ব্যবহারকে উৎসাহ দেয় NFT সিস্টেম। এটি WEB 3.0 প্রযুক্তিকে সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে।
Low Code Application Building Software: এই সফটওয়্যারটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে খুব দ্রুত এবং সহজে চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপস তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি WEB 3.0 প্রযুক্তিতে কোডিং ব্যতীত অ্যাপস তৈরি করার সিস্টেমকে গুরুত্ব দেয়।
ভবিষ্যৎ এ ইন্টারনেট জগত WEB 3.0 প্রযুক্তি দ্বারা শাসিত হবে। প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন মানুষ WEB 3.0 থেকে অনেক বেশি উপকৃত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।