জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুকের পোস্ট দেওয়া নিয়েই সুনামগঞ্জের শাল্লার হিন্দুদের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সূত্র ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, হামলার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে। ১৬ তারিখে ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবক হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়। তার অনুসারীরা এটি দেখার পরে আশপাশের গ্রাম থেকে সংগঠিত হয়ে ওই গ্রামের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ জানার পর রাত ৯টায় ওসি পুলিশ ফোর্সসহ গ্রামে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, মামুনুল হক তাদের পছন্দের লোক। তারা ঝুমনের পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের দিকে আসছিলেন। ওই দিন পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ১৭ মার্চ ৮টায় সংবাদ আসে আশপাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামে আসছে। সাথে সাথেই আমরা ওসি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পুলিশ ফোর্সকে পাঠিয়ে দিই। তিনি বলেন, দাড়াইন বাজারের পুলিশ একদলকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়। তবে গ্রামটি লম্বালম্বি হওয়ায় পূর্ব দিকে পুলিশ পৌঁছতে পৌঁছতেই হামলাকারীরা ৩০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে যায়। আমি সাড়ে ১১টায় পৌঁছে সবার সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাদের হামলা ও লুটপাটের চিত্র দেখান।
তিনি বলেন, এমন ঘৃণ্য কাজ যাতে আগামীতে কেউ না করতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। জড়িত সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। আমরা সেখান থেকেই তদন্ত করব। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও তদন্তে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, ডিআইও-১ আলা উদ্দিন মৃধা, সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।