জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার ফোনালাপের বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানাও এটিকে অসত্য বলছেন। তবে ফোনালাপে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন স্বীকার করেছেন আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সত্য।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ফোনালাপের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়। ফোনালাপে সাদ্দাম হোসেন গোলাম রাব্বানিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঈদের আগে শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা ৫০ লাখ, সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল ২৫ লাখ ও তিনি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।
ফোনালাপে অংশ নেয়া সাদ্দাম হোসেন আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার করেন। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিয়ামুল তাজও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সত্য বলে জানান। প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবিধা নিতে না পারায় তিনি শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে ব্যবহার করে এমন মিথ্যা ফোনালাপ ভাইরাল করেছেন।
এদিকে ৫০ লাখ টাকা নেয়ায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানারও দাবি ফোনালাপটি অসত্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকেও একটি প্রতিবাদপত্র দেয়া হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।