জুমবাংলা ডেস্ক : ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্ত এবং ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারের সময়ের আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।
মামলায় দাখিল করা নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় দরকার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলায় শুনানিতে অংশ নেবেন-একথা বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময়ের আবেদন জানানো হয়। এসময় রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্ট রিট আবেদনটির ওপর শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি করেছিলেন।
গত আট বছরে দেশে যেসব ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত এবং ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ১০ আগস্ট রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরম্নল কায়েস ও একরামুল কবির। রিট আবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এই রিট আবেদনের সঙ্গে ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার আইন এবং ওইসব দেশের আদালতের বিভিন্ন রায়ের সিদ্ধান্ত ও পর্যবেক্ষণ নজির হিসেবে তুলে ধরে ১৭১৭ পৃষ্ঠার নথি দাখিল করা হয়েছে।
রিট আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফোনালাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীসহ ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে আড়িপাতা প্রতিরোধে এবং ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) গত ২২ জুন আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
এছাড়াও ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট-২০০১ এর ৩০(চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটলেও বিটিআরসি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।