উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেঘালয় সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম গ্রামের এক বাড়িতে শুক্রবার রাত ৮টায় খাদ্য সহায়তা নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য। সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখেন বাড়ির চারপাশ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। বাড়ির ঘর বৃহৎ, বারান্দায় রয়েছে গ্রীল ও কলাপসিবল গেট। ঘর এবং বাড়ির প্রাচীর নতুন রং করা। আর্থিকভাবে সচ্ছল ওই পরিবারে খাদ্য সহায়তার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং তারা চাইলে অনেক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে শুরুবার রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামে।
ইউএনও কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত মোদেরগাঁও গ্রামের নুরুল হক জীবন (২৩) শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান। সে গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুস সোবাহানের ছেলে। আর এ কারণে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাদাঘাট ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জাকির হোসেন খাদ্য সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে যান। বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে গিয়ে বিরক্ত হোন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। গ্রামবাসীও এ ঘটনায় বিব্রত। তবে নুরুল হকের পিতা এ খাদ্য সহায়তা রেখেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিবেন।
জাকির হোসেন বলেন, নুরুল হক জীবনের পরিবারটি গ্রামের সচ্ছল পরিবার। তাদের খাদ্য সহায়তার কোনো ধরনের প্রয়োজন নেই। ফোন করে এমন খামখেয়ালিপনা প্রকৃত খাদ্যসংকটে থাকা লোকজদের জন্য ক্ষতিকর হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। এ সময়ে বিবেককে জাগ্রত রেখে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, পরিবারটি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।