অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোনে ফেস আইডি সুবিধা থাকবে না। বিশ্লেষক মিং-চি কুও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডিভাইসটি অ্যাপলের আইফোন ১৮ সিরিজের সাথে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ বাজারে আসবে।
তিনি জানান, জটিলতার কারণে ফোল্ডেবল ডিজাইনে ফেস আইডি সেন্সর বসানো সম্ভব নয়। এর বদলে ব্যবহার করা হবে সাইড-মাউন্টেড টাচ আইডি সেন্সর। এই সিদ্ধান্তটি অ্যাপলের ডিভাইসের ডিজাইনে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মিং-চি কুও তার সর্বশেষ বিবৃতিতে তার পূর্বাভাসে অটল রয়েছেন। তিনি ছয় মাস আগেও একই তথ্য দিয়েছিলেন। তার মতে, ফোল্ডেবল ফোনের দুটি স্ক্রিন থাকার কারণে ফেস আইডি হার্ডওয়্যার বসানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এছাড়াও, ফোল্ডেবল ডিভাইসের ভাঁজ হওয়ার মেকানিজমের জন্যও জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই জটিলতা এড়াতেই অ্যাপল টাচ আইডি সেন্সর বেছে নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ডিভাইসের উৎপাদন খরচও কমিয়ে আনবে।
অ্যাপলের প্রধান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লাকশেয়ার (Luxshare) এই টাচ আইডি মডিউল সরবরাহ করবে। কুও জানান, অ্যাপলের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির সাথে সম্পর্ক থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আল্ট্রাসনিক আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহারের। পানি বা হাতে দাগ লাগলে此类 সেন্সরের কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই সাইড-মাউন্টেড টাচ আইডিই বেশি নির্ভরযোগ্য সমাধান।
এর অর্থ হলো, ব্যবহারকারীদের ফোন আনলক করতে বা পেমেন্ট verify করতে মুখ而不是 আঙ্গুলের স্পর্শ ব্যবহার করতে হবে। এটি একটি পুরনো পদ্ধতি মনে হলেও অ্যাপলের iPad Air এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিভাইসটির ডিজাইন Samsung-এর Galaxy Z Fold 7 মতো ‘বুক-স্টাইল’ হওয়ার কথা. এটি দুটি আলাদা প্যানেল নিয়ে কাজ করবে। এই ডিজাইনের সাথে টাচ আইডিই বেশি মানানসই।
অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে তারা ফোল্ডেবল আইফোনের ডিজাইনে নির্ভরযোগ্যতা এবং খরচ—দুটোই বিবেচনা করছে। ব্যবহারকারীরা ২০২৬ সালে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতার সাথে করতে চলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।