জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে এই দেশ আবার স্বাধীন করেছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদকে হটানো হয়েছে। তাই নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদীদের ক্ষমার কোনো প্রশ্নই আসে না।
শনিবার চট্টগ্রামে ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা: কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘চট্টগ্রাম রাইজিং’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা করা হয়। সংগঠনটির চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা, হাসান আলী খান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, শিক্ষক মুহাম্মদ ফরহাদ, শিল্পী মেরুন হরিয়াল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা খুনি ও গণহত্যাকারী। যতদিন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচার হবে না, ততদিন শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। তাই গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশে কোনো মাস্তানি চলবে না। তবে বাহাত্তরের বাকশালি সংবিধান বহাল রেখে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি অসম্ভব। কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান ফ্যাসিবাদ তৈরির সংবিধান। এটি বাতিল করে জনগণের অভিপ্রায়ে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
সভায় ঢাকাকেন্দ্রিক বেশি উন্নয়নের মানসিকতার সমালোচনা করেন বক্তারা। তারা বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের উপযোগিতা রক্ষা, শহরের কাঠামোগত সংস্কার, ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিজয় মেলা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষাঙ্গনে দলীয় প্রভাব হ্রাস করা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার সমতা নিশ্চিত করা, ব্যান্ড সংগীতসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
সভার শুরুতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতাকে জনগণ সহজভাবে নেবে না : তারেক রহমান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।