আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সে নিজের বাড়ির এক কর্মীকে মারধর এবং কিডন্যাপ চেষ্টার অভিযোগে সৌদি যুবরাজের বোন হাসা বিনতে সালমানের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। তিনি উপস্থিত না হাওয়ায় অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলবে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হাসা বিনতে সালমান প্রভাবশালী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বোন। রাজকন্যার নির্দেশে তার দেহরক্ষী ওই কর্মীকে ‘মারধর করেন’।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালের মার্চে রাজকুমারীর বিরুদ্ধে ফ্রান্স গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
হাসার অভিযোগ, বাড়িতে রং করতে আসা কর্মী মোবাইলে তার ছবি তোলেন। সৌদি আইনে রাজকন্যার ছবি তোলা দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওই কর্মী বলেন, তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রাজকুমারীর পায়ের পাতায় চুম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজকুমারী চিৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ওকে মেরে ফেলো। এটা একটা কুকুর। ওর বাঁচার কোনো অধিকার নেই।
রাজকন্যা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর তিনি অবশ্য ফ্রান্স ত্যাগ করেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজকন্যার আইনজীবী ইমানুয়ের মইন বলেন, মিথ্যা অভিযোগের ওপর মামলা হয়েছে। রাজকন্যা অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র এবং সংস্কৃতিমনস্ক। সৌদি আইনে এবং রাজকন্যার নিরাপত্তার খাতিরেই তার ছবি তোলাটা নিষিদ্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।