জুমবাংলা ডেস্ক: দুয়ারে ঈদুল আজহা। কোরবানির মাংস সংরক্ষণের চিন্তায় ফ্রিজ কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে। বিশেষ করে, দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম চোখে পড়ার মতো। সেরা দামে সেরা মানের পছন্দের ফ্রিজ কিনতে ঈদের আগমুহূর্তে ওয়ালটনের শোরুমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এই বাড়তি ক্রেতা সমাগম ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন। সার্বিকভাবে বলা চলে, সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধুম।
ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির এমন চিত্রের কথাই জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, সিলেট, নরসিংদীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধি ও পরিবেশকরা।
তারা জানান, সকল শ্রেণি-পেশার আয়ের ক্রেতাদের ক্রয়সক্ষমতা অনুযায়ী বাজারে আছে ওয়ালটনের ২৫০টিরও বেশি যুগোপযোগী ডিজাইন ও মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। ঈদ উপলক্ষে ইনভার্টারের মতো বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী অত্যাধুনিক ফিচার ও ডোরসমৃদ্ধ অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী, মানেও সেরা। আছে দেশের সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের আওতায় দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। তাই, প্রতিবছরের মতো এবারের কোরবানির ঈদেও সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ওয়ালটন ফ্রিজে।
ওয়ালটন শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ক্রেতারা গাড়ি ফ্রিসহ লাখ লাখ উপহার পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গাড়ি ফ্রি পেয়েছেন চারজন ক্রেতা।
তারা হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসান আহামদ, যশোরের শার্শার শ্রী রতন লাল বাসফোড়, নওগাঁর খাদিজা বিবি ও নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম। এছাড়া, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভিসহ লাখ লাখ উপহার পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। তাই, ঈদের আগুমুহূর্তে পছন্দের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে শোরুমগুলোতে ক্রেতা ভিড় বেড়েছে ব্যাপক হারে।
ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ জানান, সার্বিক বিবেচনায় এবারের কোরবানি ঈদে ফ্রিজ বিক্রির জন্য সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রখর গরম, গত বছরের মতো ঈদের আগে বন্যা না হওয়া এবং করোনার প্রভাব না থাকায় এ বছর কোরবানির ঈদকে ঘিরে ফ্রিজের বাজার বেশ চাঙ্গা। তাই, ঈদের আগমুহূর্তে দেশব্যাপী ওয়ালটনের শোরুমগুলোতে চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধুম।
তার দাবি, প্রতিবছরের মতো এই ঈদেও ফ্রিজের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটনের। এরইমধ্যে গত কোরবানির চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে এই ঈদে ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা। এদিকে, বার্ষিক ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রারও প্রায় ৬৫ শতাংশ পূরণ হয়ে গেছে।
ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে ইনভার্টারের মতো বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়াও ফ্রিজের কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব R600A রেফ্রিজারেন্ট। নিজস্ব কারখানায় উচ্চ মানের টেম্পারড গ্লাসে তৈরি হচ্ছে গ্লাসডোর ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত সিন্থোফ্রেশ টেকনোলজি খাবার সতেজ রাখে ৩০ দিন পর্যন্ত।
এছাড়া, ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি, ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ, কুল প্যাক (বিদ্যুৎ ছাড়াই ফ্রিজের অভ্যন্তর দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা রাখার প্রযুক্তি), ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ প্রতিরোধক থ্যালেট ফ্রি গ্যাসকেট, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, আইজিটি (ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর) ইত্যাদি ব্যবহার ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চ মানের উপাদান ব্যবহারের ফলে ওয়ালটন ফ্রিজ টেকসই, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
এই ঈদে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের ২৫০টিরও বেশি সর্বাধুনিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এর মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে অত্যাধুনিক ডোর ও ফিচার সমৃদ্ধ অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। এই ঈদে ওয়ালটনের নতুন চমক হচ্ছে ৩২৫ লিটার ধারণক্ষমতার ভার্টিক্যাল ফ্রিজার, ২৫৫ লিটার ধারণক্ষমতার কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ফ্রিজার, বিশ্বের প্রথম 8-in-1 কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ৬৪৬ ও ৬১৯ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের জায়ান্টটেক সিরিজের জিটি প্রো ও জিটি মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।
সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ওয়ালটনের এসব ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমতো সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচও অনেক কম হবে। ক্রেতারা ওয়ালটনের ৫০ লিটার থেকে ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতা পর্যন্ত রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার (ডিপ ফ্রিজ) ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন।
ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের আছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার্ভিস এক্সপার্টস টিম ও আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৮০টিরও অধিক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ লেভেলের বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।