জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলার কুমড়ি গ্রামে স্ত্রীর সামনে চারটি হত্যা ও অস্ত্রসহ ১৩টি মামলার আসামি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোহেল খানকে (৪০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। সোহেল লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের বদিয়ার খান ওরফে কানা বদিয়ারের ছেলে।
তার নামে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশ, দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান, যুবদল নেতা তনুসহ চারটি হত্যা এবং অস্ত্র ও মারামারিসহ অন্তত ১৩টি মামলার রয়েছে। এছাড়া তিনি পুলিশের একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোহেল খান গ্রেফতার ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তিনি গোপনে বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ি ভাটপাড়া গ্রামের হাসান মুন্সির বাড়িতে আসলে তার উপস্থিতি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের বাইরে উঠানে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। হামলার সময় সোহেলের স্ত্রী রিজিয়া খানম (৩০) আহত হন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, মৃতদেহ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।