জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং নবনির্মিত আইসিইউ-২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ (২ জুন) মহাখালীতে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসবের শুভ উদ্বোধন করেন।
অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বছর নতুন করে তিন লাখ লোক টিবিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে এতে ২৯ হাজার লোকের মৃত্যু হচ্ছে। এই সংখ্যাটি কম নয়।এর ফলে ৭০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, শ্বাসজনিত যেসব রোগে মানুষ মারা যায়, তার বড় একটি অংশ তামাক সেবনের কারনে হয়ে থাকে। এতে করে ক্যান্সার হয়৷
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতার শুরুতে দেশে কোন ইনস্টিটিউট ই ছিলনা, এখন বড় বড় রোগগুলোর প্রত্যেকটির ইনস্টিটিউট হয়েছে। দেশে মাতৃমৃত্যু কমেছে। গড় আয়ু বেড়েছে। করোনা মোকাবিলায় সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এসব রোগের চিকিৎসা দিতে হলে প্রতিষ্ঠান ও লোকবল লাগবেই। আটটি বিভাগে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। আমাদের স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি অনেক আছে।কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও যন্ত্র মেরামতের লোকের অভাব রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অনেক ভাল আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার সময় বক্ষ্যব্যাধি ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞদের বেশী প্রয়োজন ছিল। কারণ করোনায় মানুষের ফুসফুসই বেশী আক্রান্ত হয়েছে। করোনার সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আইসিইউ ম্যানেজ করে তাদের বাবা পরিবারের কাছে যেতে হতো। এসব চিকিৎসকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। করোনাকালীন সময় মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ১০ হাজার চিকিৎসক ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এক কথায় বলতে গেলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, আমাদের নতুন করে ৪৬৫ টি জেনারেল কনসালটেন্ট পদ সৃজন করা হয়েছে। তার মাঝে আমরা সারাদেশের বক্ষব্যাধি হাসপাতালগুলোর জন্য ৫৪ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট এর পদ দিয়েছি। পদ সৃজন একটি লম্বা প্রক্রিয়া। এর সাথে মন্ত্রনালয়ের অনেক বিষয় সংযুক্ত থাকে। আপনারা এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করবেন।
নতুন আইসিইউ এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংযোজনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুঃ সাইদুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।