জুমবাংলা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, দিনাজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং মুজিবনগর সরকারের পশ্চিমাঞ্চল-১ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম. আব্দুর রহিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত’ (মরোণোত্তর) এই প্রবীণ রাজনীতিবীদ আইনজীবী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সমাজসেবক ছিলেন।
এম. আব্দুর রহিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মরহুমের পরিবার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনাজপুরে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল এবং বাদ জুমা গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল।
এম. আব্দুর রহিম হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের পিতা। তার চার মেয়ের মধ্যে দুজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা তাদের মধ্যে একজন।
এম. আব্দুর রহিম ৯০ বছর বয়সে ২০১৬ সালে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৯২৭ সালের ২১ নভেম্বর দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পরের বছর দিনাজপুর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন তিনি।
রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার নির্মাণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নেন এম. আব্দুর রহিম। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাকে ২০১৮ সালে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ (মরনোত্তর) প্রদান করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।