
জুমবাংলা ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি কর্মসূচির মধ্যেই নান্দনিকতা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুধু ধনী দেশ হলেই আমরা নান্দনিক হতে পারবনা। নান্দনিকতার ক্ষেত্রে মানব উন্নয়ন লাগবে।
জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২০৪১: বাংলাদেশ হবে নান্দনিক শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, জাতির পিতা সুইজারল্যান্ডকে অনুসরণ করে সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আমাদের সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, বাহাত্তর সালেই তিনি বলেছেন, আমাদের নদীর নাব্যতা কমে গেছে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। সেজন্য একটা বিধ্বস্ত অর্থনীতির মধ্যেও তিনি সাড়ে তিন বছরে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র সেই সাতটি ড্রেজারই ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নান্দনিক চিন্তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সারাজীবন শুনে আসছি নদী শাসন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলছেন, নদী শাসন না, নদী ব্যবস্থাপনা। নদীকে শাসন করা যাবেনা। নদী ব্যবস্থাপনার এই শব্দের মাঝেও নান্দনিকতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আক্ষেপ করে বলেন, কীভাবে আমাদের ঢাকা শহরকে ধ্বংস করা হয়েছে। কীভাবে আমাদের খালগুলোর মাঝে বক্স কালভার্ট করা হয়েছে। একটা মৃত শহরের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই চিন্তুগুলোর মধ্যেও আমরা নান্দনিকতা পাই।
ঢাকা শহরকে আরো নান্দনিক করে গড়ে তুলতে চারপাশের নদী দখল উচ্ছেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০ বছর আগে যে সুযোগ ছিল, এখন কিন্তু তা নেই।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও শিল্পকলা একাডেমি পরিষদের সদস্য আকরামুল ইসলাম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রবীন্দ্রনাথ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃতি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।