জুমবাংলা ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, দেশের প্রয়োজনে তিনি রক্ত দেবেন। তিনি ঠিকই রক্ত দিয়ে গেছেন। তার সেই রক্তের ঋণ আমাদেরই শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে। কথাগুলো বললেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘রক্তদান, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধানমণ্ডি এলাকায় লেক কাটার পর সমস্ত গাছ তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজে পছন্দ করে লাগিয়েছিলেন। তার যে প্রকৃতির প্রতি প্রেম-ভালোবাসা, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং পরিবেশ রক্ষা করার যে প্রচেষ্টা সেটা আমরা সব সময় স্মরণ করি। আজকের এই দিনে শুধু রক্তদান কর্মসূচি নয়, তার সাথে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও ঘোষণা করছি। এই কারণে যে আমাদের বাংলাদেশটা রক্ষা করতে হবে জলবায়ূ পরিবর্তনের হাত থেকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি ব-দ্বীপ তাই আমরা প্রতিনিয়তই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। এই যুদ্ধ থেকে বাঁচানোর জন্য আরও ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। সেই সাথে এটা অর্থকরীও বটে। মানুষ, পরিবার যে বৃক্ষরোপণ করে সেখান থেকে নানা ফলমূল হয়। তা নিজেরা যেমন ব্যবহার করতে পারে, বিক্রি করেও পয়সা পায়। যে কাঠ হয় সেটাও তারা বিক্রি করতে পারে। ভেষজ গাছ লাগালে সেটা আমাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে আমরা এটা প্রতি বছর পালন করে আসছি। আজকে জাতির পিতার উদ্দেশে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষা, মানুষের জীবন মান উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগটা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আমরা নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি পালন করে থাকি। আপনার রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রক্ত দিলে, রক্ত কমে না। রক্ত বাড়ে। একজন মুমুর্ষ রোগীর জীবন রক্ষা হয়। এই জীবন রক্ষার জন্য একটু ত্যাগ স্বীকার যে কোনও মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা মানবতার জন্য দরকার।
তিনি বলেন, ইদানিং আমাদের দেশে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটা হলো ডেঙ্গুর প্রভাব। সেই ডেঙ্গুর প্রভাবমুক্ত করার জন্য আমি কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের পার্টির প্রত্যেকটা মানুষ সেটা মেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে মশার বংশবিস্তার যাতে না হতে পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা। নিজের ঘর-বাড়ি সব কিছুকে সুরক্ষিত করা হয়। সেইভাবে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।