জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলা বিএনপির গণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আলী আজম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আলী আজম চৌধুরী নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামের সিরাজ চৌধুরীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৫/৬দিন আগে অ্যাডভোকেট আলী আজম চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত সোমবার সকালে পুলিশ তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া থেকে গ্রেফতার করে। পরে বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে অ্যাডভোকেট আলী আজম চৌধুরীর পরিবারের দাবি, তিনি ফেসবুকে আপত্তিকর কিছু লিখেননি। অন্যের একটি মন্তব্য নিজ ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, গত কয়েকদিন আগে কারো একটি পোস্ট আলী আজম চৌধুরী নিজের ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিল। কিন্তু সেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর কিছু ছিল না বলে জানতে পেরেছি। এর বাইরে আমি বেশি কিছু জানিনা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই ধর্মজিৎ সিনহা জানান, ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও ইসলামিক একটি অডিওর শব্দ পরিবর্তন করে বিএনপির ওই নেতা পোস্ট করেছিল। এ ঘটনায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আলী আজমের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।