Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ, ট্রেন যাবে কক্সবাজার
জাতীয় পজিটিভ বাংলাদেশ স্লাইডার

বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ, ট্রেন যাবে কক্সবাজার

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কNovember 11, 2023Updated:November 11, 20235 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। চালু হলো কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। আজ দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ হাজার ৩৪.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেছেন।

নবনির্মিত রেলস্টেশনে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও রেললাইন উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। আজ গর্বিত হওয়ার দিন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সশরীরে উপস্থিত হতে পেরে সত্যিই খুব খুশি হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটা এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিজেসহ দেশবাসী এখন কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়, রাজশাহী, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, সুন্দরবন পর্যন্ত রেলপথ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

মজার সুরে তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করায় দেশের মানুষ এখন গর্ববোধ করছে।আজকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই দিনটি গর্বিত হওয়ার দিন।’

তিনি ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় একটি দাবি শুনে এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন ছিল। কাজেই এই দোহাজারী থেকে কক্সবাজার কবে রেললাইন আসবে? সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা করতে পারায় তিনি খুবই আনন্দিত। এটা রামু পর্যন্ত করা হয়েছে এবং গুমধুম পর্যন্ত করার কথা। এ জন্য আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসতে চাই। ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সাথে আমরা সংযুক্ত হতে চাই। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তায়নের সময় ৩৯টি মেজর ব্রীজ করতে হয়েছে, ২৪৪টি ছোটও মাঝারি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, ৯টি স্টেশন ও আধুনিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে। একটি ওভারপাস ও দু’টি আন্ডারপাস ও নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেললাইনটা চকোরিয়া থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও পাওয়ার প্লান্ট এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে যাতে সংযুক্ত হয় তার ব্যবস্থাও আমরা করে দেব। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো উন্নত হয়।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছে। যে লাইনটা এক সময় খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতে উন্নীত হয় সেই পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এবং সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

বিগত ১৫ বছরের বাংলাদেশকে তাঁর সরকার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধি বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে যেখানে ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল সেখানে তাঁর সরকার এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে।

নতুন এই রেল যোগাযোগ পর্যটন, শিল্পায়ন, ব্যবসা ও বাণিজ্য বাড়ানোর সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করানোর নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির বক্তৃতা করেন ।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের মাধ্যমে ব্রিটিশ আমলে প্রথম উদ্যোগ নেওয়ার ১৩৩ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে।

ট্রেন লাইন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে একটি ট্রেনে চড়ে রামু যান।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ১ ডিসেম্বর থেকে চলাচল শুরু করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতোমধ্যে তার সময়সূচী এবং ভাড়া নির্ধারণ করেছে।

তবে ট্রেনের নাম এখনও ঠিক করা হয়নি।

ট্রেনটির ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে প্রায় ৮ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় লাগবে। এটি ঢাকা বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম এ দু’টি স্টেশনে থামবে।

ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নন-এসি শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

বিকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত টার্মিনাল থেকে সমুদ্র পর্যন্ত প্রসারিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ কৃত্রিম নেভিগেশন চ্যানেলের উদ্বোধন এবং বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে। এর কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হওয়ার কথা।

তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১২০০-মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬০০ মেগাওয়াট) এবং সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম)উদ্বোধন করবেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের টাউনশিপ মাঠে জনসভায় যোগ দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে পুরো কক্সবাজার সাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে কক্সবাজারবাসী।

কক্সবাজার শহরে একটি রেল স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও সাতটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। রেললাইনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করায় হাতি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীদের চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাসও নির্মাণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে দর্শনীয় আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।

ছয় তলা স্টেশন বিল্ডিংয়ের আয়তন ১,৮২,০০০ বর্গফুট যার তিনটি প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যে ৬৫০ মিটার এবং প্রস্থে ১২ মিটার।
এগুলো ছাড়াও এর পাশে রেলওয়ে আবাসিক এলাকা নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেল, ক্যান্টিন, লকার এবং গাড়ি পার্কিংও রয়েছে।

এই স্টেশন দিয়ে দিনে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ যাতায়াত করতে এবং পর্যটকরা তাদের লাগেজ স্টেশন লকারে রেখে সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ৩ এপ্রিল ২০১১ সালে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রামু-ঘুমধুমের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।-বাসস

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় আরও একটি কক্সবাজার কন্যার ট্রেন ধরে পজিটিভ পূরণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ যাবে স্বপ্ন স্লাইডার হাত
Related Posts
আইজিপি

প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শনে আইজিপি

December 19, 2025
হাদি

বাবার পাশে শায়িত হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন হাদি

December 19, 2025
আন্দোলনকারী

আন্দোলনকারীর জন্য নিজের জমানো টাকায় রুটি-কলা-খেজুর নিয়ে শাহবাগে গৃহিণী

December 19, 2025
Latest News
আইজিপি

প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শনে আইজিপি

হাদি

বাবার পাশে শায়িত হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন হাদি

আন্দোলনকারী

আন্দোলনকারীর জন্য নিজের জমানো টাকায় রুটি-কলা-খেজুর নিয়ে শাহবাগে গৃহিণী

হাদির জানাজা

কখন কোথায় হবে হাদির জানাজা, জানা গেল

ছাত্র-জনতা

শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা

তারেক

২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

ওসমান হাদি

শেষ ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছিলেন ওসমান হাদি

সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয়

সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

সংযম

আমাদের পথ ধ্বংসের নয়, পুনর্গঠনের, সবাই শান্ত থাকুন: হাসনাত

পরীক্ষা স্থগিত

ইউজিসির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.