জুমবাংলা ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আজ সোমবার আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের পক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে পরিচালক (যুগ্মসচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলাম ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা দেশের নন, তিনি বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের সাথে মিশে গিয়ে জনগণের খাদেম হয়ে সেবা করার আহ্বান জানান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের নান্দনিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭৪ শতাংশ তরুণের কাছে বঙ্গবন্ধু মানেই ৭ মার্চের ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে শুধু চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারা জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দু:খ, বঞ্চনা এবং ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন এক অবাক করা কাব্যিক মাধুর্য্যে। এই ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার রূপরেখা অঙ্কন করেন, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির রোডম্যাপ প্রস্তুত করেন।
এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বিভাগের দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচন করেন এবং তাতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।