জুমবাংলা ডেস্ক: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি বলেছেন, `বঙ্গবন্ধু তো বঙ্গবন্ধুই। তিনি হচ্ছেন সবুজের বুকে লাল পতাকা। বঙ্গবন্ধু তো একদিনে হননি। খোকা থেকে শেখ মুজিব। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। একেবারে ধীরে ধীরে গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।’
গতকাল (১১ আগস্ট) রাতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সৌজন্যে অনলাইন পোর্টাল জুমবাংলার ফেসবুক লাইভে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
শোকের মাস আগস্ট ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যৌথভাবে পাঁচদিনব্যাপী এক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও জুমবাংলাডটকম। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবারের এই অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল ‘তারুণ্যের আদর্শ বঙ্গবন্ধু’।
এনামুল হক শামীম বলেন, `একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত মানুষের ভালবাসা পাওয়ার চিন্তা করা। ভালবাসা পেলে আর কিছু লাগে না, যেটা বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন। আর তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তা পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, `বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের তরুণদের আদর্শ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশের তরুণের, রাজনীতিবিদদের আদর্শ। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্কুলে পড়ার সময়কার দুটি ঘটনা তুলে ধরেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর এলাকার দলিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নানান নিপীড়ন ও নির্যাতন করা হতো, যা দেখে তিনি নিজের আবেগ সংবরণ করতে পারেননি। তিনি সেই নির্যাতনের প্রতিবাদে সেই সময়েই একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়সের আরেকটি ঘটনা তুলে ধরেন আমিনুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু যে স্কুলে পড়তেন, একবার সেই স্কুল পরিদর্শনে গেলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শের-ই বাংলা একে ফজলুল হক। স্কুলঘরের টিনের চালার ফুটো দিয়ে পানি পড়তো। সেই কথাটি অতিথিদের কাছে বলার সাহস পাচ্ছিল না কেউই। তখন কিশোর শেখ মুজিব অতিথিদেরকে স্কুলের দুর্দশা দেখিয়ে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদী রূপ দেখতে পাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড সহিদ আকতার হুসাইন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন মাত্র ৫৫ বছরের মতো। তার পুরো জীবনটাই ছিল তারুণ্যে ভরপুর। তিনি ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। তারুণ্যের স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে তিনি লালন করতেন, ধারণ করতেন। তারুণ্যের ক্ষোভ ও দ্রোহের সঙ্গে তাৎক্ষণিক সংযোগ ঘটাতে পারতেন তিনি। তাঁর স্বকীয়তা তরুণদের মাঝে সঞ্চারিত করতে পারতেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ পরিচালক সাজেদ ফাতেমী। বরাবরের মতো গতকাল ১২২ তম পর্বও সম্প্রচারিত হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও জুমবাংলাডটকম – দুটো প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজ থেকে।
পাঁচদিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ৯ আগস্ট। ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষদিনগুলো’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড এম আফজাল হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও সোনিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উদ্দিন মোঃ কায়সার খান।
গতকাল বুধবার ছিল দ্বিতীয় পর্ব। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টায় তৃতীয় পর্ব, একই দিন রাত ১০টায় চতুর্থ পর্ব এবং ১৬ আগস্ট রাত ৯টায় পঞ্চম পর্ব সম্প্রচারিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।