জুমবাংলা ডেস্ক:বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৬ বছরে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ১৯৯৮ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সেতুতে পারাপার হয়া যানবাহন থেকে এ টোল আদায় করা হয়। যা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের প্রায় দ্বিগুণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের জুন মাসে ৯৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৬১ কোটি ২৭ লাখ, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ, ২০০০-১ অর্থ বছরে ৮২ কোটি ৮৪ লাখ, ২০০১-২ অর্থবছরে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ, ২০০২-৩ অর্থ বছরে ১০৮ কোটি ৭২ লাখ, ২০০৩-৪ অর্থ বছরে ১৩১ কোটি ৮ লাখ, ২০০৪-৫ অর্থবছরে ১৫২ কোটি, ২০০৫-৬ অর্থ বছরে ১৯৭ কোটি ৯৭ লাখ, ২০০৬-৭ অর্থবছরে ১৭৩ কোটি ৭৬ লাখ, ২০০৭-৮ অর্থবছরে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ, ২০০৮-৯ অর্থবছরে ২১৪ কোটি ৪২ লাখ, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৬৭ কোটি ১০ লাখ, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩২৭ কোটি ৯৮ লাখ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২৫ কোটি ৩৮ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৮৬ কোটি ৫২ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৪৩ কোটি ৮০ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭৫ কোটি ৩৪ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৬০ কোটি ২৮ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৫৪ কোটি ৮২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০৪ কোটি ৫৫ লাখ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করেনব। সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেতু নির্মাণকালে বিনিয়োগের টাকা তুলে আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ বছর। তবে নির্ধারিত সময়ের ৭ বছর আগেই এর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সড়ক পথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য ১৯৯৪ সালের যমুনার নদীর ওপর সেতুটির কাজ শুরু হয়। নদীর পূর্ব তীরের টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সেতুটি ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে সেতুটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। প্রতিষ্ঠার পর গত ঈদে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহণের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।