জুমবাংলা ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো শিথিলতা নেই। অবশ্যই একদিন পলাতকদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান যে জড়িত- এটা দিনের আলোর মতো সত্য।
তিনি বলেন, ‘হয়তো আপনারা বলবেন, জিয়াকে আসামি করা হয়নি কেন? আমি বলবো- যেহেতু জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হয়েছেন, সেজন্য তাকে আসামি করা হয়নি। কারণ আমাদের আইনে মরণোত্তর বিচারের কোনো বিধান নেই। সেই জন্য আইনের বাইরে গিয়ে শুধু তামাশা করার জন্য একজনকে সাজা দেওয়া হবে না। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত, তার সাক্ষ্য-প্রমাণ ইনশাআল্লাহ একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন থাকবে, আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুর অনুসারী একজন থাকলেও পলাতক হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এই চলমান প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিশদ কিছু বলতে গেলে, তার ব্যাঘাত ঘটবে। সে জন্য শুধু বলবো তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনের দায়ে যারা সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত, যাদের ব্যাপারে এখনো এই রায় কার্যকর করা যায়নি তারা পলাতক থাকার কারণে এবং দুজন দুটি দেশে থাকার কারণে, তাদের ফিরিয়ে এনে এই রায় কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা করেছিলাম। সেটা বিচার করে শেষ করা হয়েছে। এখন পলাতক যারা আছেন তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। তারপর এই হত্যার পেছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারী কারা তাদের চিহ্নিত করে দেশের মানুষের কাছে তাদের নামটা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ রকম একটা তদন্ত কমিশন করা। কমিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। সেই কারণে আমরা যে রূপরেখা তৈরি করেছি, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’
আনিসুল হক বলেন, যখনই করোনাভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে, তখনই এই কমিশনের রূপরেখা-কার্যাবলী কী হবে এবং কমিশন কাদের দ্বারা গঠিত হবে সেগুলো জানা যাবে। করোনার পরে সেগুলো আপনারা জানতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসার পর যে আদলে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, আমরা চলমান আইনগুলোতে সেই আদর্শ এবং ভিত্তি অনুসরণ করেই কাজ করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।