জুমবাংলা ডেস্ক: মরিশাসস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে।
এ উপলক্ষে মরিশাসের একটি সেল্টারে আলোচনা সভা এবং বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদেরকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও পরিবারের সকল সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশ ও মরিশাসের জনগণের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বঙ্গমাতার জীবনাদর্শের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালক ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর কালরাত্রে নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন যে, `বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন একজন সাহসী, নির্ভিক ও দূরদর্শী নারী। তিনি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিণী নন, তিনি ছিলেন বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সংগ্রামের অন্যতম সহযোদ্ধা।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, `জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি কারাগারে কাঠিয়েছেন। এ সময় বঙ্গমাতা এক হাতে যেমন সন্তানদের লালন-পালন করেছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তিসহ দল পরিচালনায় নেতা-কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে জাতির পিতাকে আত্মাবিশ্বাসের সাথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। অসীম সাহসে নীরবে নিভৃতে তাঁর কাজের জন্যই তিনি বঙ্গমাতা হিসেবে বাঙ্গালি জাতির হৃদয়ের মনি-কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।’
রেজিনা আহমেদ কিশোরীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, `এই মহীয়সী নারীর জীবন থেকে আমাদের সকলেরই অনেক কিছু শেখার আছে এবং আমি নিশ্চিত যে, তোমরা প্রামাণ্য চিত্র থেকে বঙ্গমাতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছো এবং আশা করি যে, তোমাদের ভবিষ্যত জীবন আলোকিত হবে।’
সেল্টারের পরিচালক আয়েশা জুমন বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিনের রাষ্টীয় কর্মসূচী এই সেল্টারে আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বলেন যে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শে আজকের কিশোরীরা তাঁদের জীবন আদর্শ গড়ে তুললে অবশ্যই একদিন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সেল্টারে বসবাসরত সুবিধা বঞ্চিত কিশোরীরা ছাড়াও দূতাবাসের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



