জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ১৫ জেলে এখনো ফিরে আসেনি। তিন দিন যাবৎ অনুসন্ধান চলছে কিন্তু তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ৭ নভেম্বর সুন্দরবনের নারকেল বাড়িয়ার কাছে এফবি তরিকুল ইসলাম-১ নামক মাছ ধরার ট্রলার ১৬ জেলে নিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়।
ট্রলার মালিকের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার নলী এলাকায়। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ওই ট্রলারের মালিকের বরাত দিয়ে জানান, গত ৭ তারিখ এফবি তরিকুল ইসলাম-১ মাছ ধরার ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। আবহাওয়া খারাপ হলে ফিরে আসার সময় হঠাৎ ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
সাগর থেকে ফেরার পথে এফবি গাজী নামক একটি ট্রলারকে টেনে কূলে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তারা রাজি হয়নি। অবশেষে মো. ছগির নামক এক জেলেকে মালিকের কাছে খবর পৌঁছানোর শর্তে বহন করে নিয়ে আসে। ফিরে আসা জেলে মো. ছগির জানান, সাগরে বিকল ট্রলারটি নোঙ্গর করে অপেক্ষা করতে দেখে এসেছে।
এফবি তরিকুল ইসলাম-১ ট্রলার মালিকের শ্বশুর মো. নজরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবারই দ্রুতগতি (২২৫ হর্স পাওয়ার) সম্পন্ন অপর একটি ট্রলার অকুস্থলে যায় এবং শুক্রবার পর্যন্ত অনুসন্ধান করে কিন্তু ট্রলার বা জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সতর্ক বার্তা শুরু হলে অনুসন্ধান বন্ধ করা হয়।
নিখোঁজ ১৫ জেলের ৬ জনের বাড়ি সদর উপজেলায় ও ৯ জনের বাড়ি তালতলী উপজেলায়। জেলেদের নাম মো. দুলাল মাঝি, হারুন মিয়া, লিটন, সুমন, মোকলেস, মোবারক, আনোয়ার, মোস্তফা ফরাজী, মো. সবুজ, মো. জসিম, পনু মোল্লা, জলিল খা, কামাল হাওলাদার, সানু হাওলাদার ও মো. রাসেল।
বরগুনার জেলা প্রশাাসক মোস্তাইন বিল্লাহ শনিবার রাত সোয়া ১০টায় জানান, এফবি তরিকুল ইসলাম-১ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার শুক্রবার দুপুর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। ইতিমধ্যে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে বিষয়টি জানান হয়েছে।
কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া জানান, তাদের অনুসন্ধান চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।