জুমবাংলা ডেস্ক : মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই সন্তানের এক জননীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবারের মধ্যে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উল্লাপাড়ার থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপারে জানাতে বলেছেন আদালত।
আজ রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টি আজ আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মিথ্যা অপবাদে এক গৃহবধূর মাথার চুল কাটার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় আত্মীয় বাড়ি যাওয়ার পথে একটি বাড়ির সামনে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও তার চার সহযোগী মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করে। পরে মাছ কাটার বটি দিয়ে জোরপূর্বক তার মাথার চুল কেটে দিয়ে উল্লাস করে তারা।
পরে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও নানা বাঁধার সম্মুখীন হন ওই গৃহবধূ। অবশেষে ২ ডিসেম্বর রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার অপর চার সহযোগী হলেন- গজাইল গ্রামের মুনসুর (৩৮), আব্দুস সালাম (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২)।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের গৃহবধূর চুল কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ওই আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজন গৃহবধূকে বটি দিয়ে চুল কেটে উল্লাস করতে দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।