জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুর রহমান বদিকে নিজের বাবা দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন মোহাম্মদ ইসহাক (২৬) নামের এক যুবক। গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ সহকারী জজ আদালতে বদিকে নিজের বাবা দাবি করে আবেদন করেন তিনি।
ইসহাকের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া গ্রামে। পিতৃপরিচয় নিশ্চিতের জন্য তিনি প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করারও আবেদন করেছেন আদালতে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।
বাদি মোহাম্মদ ইসহাক আবেদনে উল্লেখ করেছেন, গত ১৯৯২ সালের ৫ এপ্রিল কলেমা পড়ে তার মা সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। তার মায়ের বিয়ে পড়ান আবদুর রহমান বদির পারিবারিক আবাসিক হোটেল “নিরিবিলি”তে তৎসময়ে কর্মরত মৌলভী আবদু সালাম। বিয়ের স্বাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান এখলাছ মিয়া। পরে মায়ের হাত ধরে অসংখ্যবার “বাবার” কাছে যান তিনি। বদি অপ্রকাশ্যে তাকে নিজের সন্তানের মত বুকে জড়িয়ে আদর করেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এভাবে অসংখ্যবার আবদুর রহমান বদির কাছে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু, প্রকাশ্যে সন্তান হিসাবে মোহাম্মদ ইসহাককে মেনে নেননি।
মোহাম্মদ ইসহাক জানান, তার বয়স বাড়ার কারণে পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলে দুইজন মিলে আবদুর রহমান বদির ছোট বোন শামসুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। আবদুর রহমান বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই কোনো উপায় না দেখে পিতৃত্বের দাবিতে আদালতের দ্বারস্ত হন তিনি।
জানতে চাইলে বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বাদী মোহাম্মদ ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেছেন, সেটি মায়ের স্বীকারোক্তি। ওই সময়ে বিয়ে পড়ানো মৌলভী আবদুস সালাম ও স্বাক্ষী এখলাছ এখন বেঁচে নেই। মা সুফিয়া খাতুনের উপর নির্ভর করে বাদি পিতৃত্ব দাবি করে আদালতে আবেদন করেছেন। এরপরও আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি আদালত দিন ধার্য করেছেন।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।