জুমবাংলা ডেস্ক : দিলসাদ নাহার আচল (১৮), একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় তার বাসা। সাফকাত নামে এক তরুণের সঙ্গে দিলসাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সাফকাতের সঙ্গে মুঠোফোনে ভিডিও কলে রেখে কথা বলছিলেন তিনি। এর মধ্যে দুজনে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায় বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেন দিলসাদ।
পরিবারের লোকজন দিলসাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।’
মৃতের মামা কাউছার জানান, দিলসাদের বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন, মা শাহানাজ পারভীন। সাভারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে লেখা পড়া করতেন তার ভাগনী। খিলক্ষেত পশ্চিম কাওলায় নিজেদের ফ্লাটে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন দিলসাদ। স্কুল জীবন থেকে সাফকাতের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। সেও অপর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে দুজন মুঠোফোনে ভিডিওকলে কথা বলছিল। এর মধ্যে তাদের ঝগড়া শুরু হয়, এর এক পর্যায়ে দিলসাদ ভিডিওকলে সাফকাতকে রেখেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
কাউছার আরও জানান, সাফকাত তার বড় ভাগনী শামসুননাহারের ফেসবুক মেসেঞ্জারে দিলসাদের কয়েকটি ছবি দিয়ে রাখে। কিন্তু সে ঘুমিয়ে থাকায় দেখতে দেরি হয়ে যায়। সকালে ঘুম ভাঙলে শামসুননাহার ছবিগুলো দেখে দিলসাদের ঘরের দরজা চাবি দিয়ে খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তার বাবা-মাকে জানিয়ে বোনকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দিলসাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
শামসুননাহার জানান, ঘুমাতে যাওয়ার আগে দিলসাদ ও সাফকাতকে কথাকাটাকাটি করতে দেখেছিলেন তিনি। বিষয়টা বুঝেও উঠতে পারেননি। ঘুম থেকে সকালে উঠে নিজের বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। মামার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মামার অভিযোগ সাফকাতের কারণেই দিলসাদ আত্মহত্যা করেছে। ’ তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্তের ব্যবস্থা করবেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।