জুমবাংলা ডেস্ক : কিভাবে আত্মহত্যা করতে হয় বন্ধুদেরকে সেটা দেখাতে গিয়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাত দশটায় মো. শোয়েব আহমেদ নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। পরে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই ইউনিয়নের প্রজেক্ট এলাকায় নাইমুর রহমান নয়ন আত্মহত্যা কিভাবে করে তা শেখাতে গিয়ে গলায় দড়ি আটকে মারা যান।
নিহত শোয়েব কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাড়িচালক খয়েজ আহমদ তরুণের ছেলে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনাশ্রমে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অপরদিকে নাইমুর রহমান কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার ফরহাদ হোসেন ছেলে।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন বলেন, রাতে প্রজেক্ট এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শোয়েব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে নাইমুর রহমান নামের এক যুবকও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শোয়েবের মৃত্যুর পর বন্ধুদের সঙ্গে কিভাবে আত্মহত্যা করে সেই গল্প করছিলেন নাইমুর রহমান নয়ন। এক পর্যায়ে বন্ধুদের আত্মহত্যা কিভাবে করে তা দেখাতে গিয়েই ফাঁস পড়ে যায় নয়নের গলায়। পরে দ্রুত চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।