জুমবাংলা ডেস্ক : সিনেমার ব্যবসা যখন মন্দা, তখনও পৈতৃক ব্যবসাকেই আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন মধুমিতা সিনেমা হলের বর্তমান কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। কিন্তু শেষরক্ষা আর হলো না। সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বছর অতিক্রম করায় বছরজুড়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলটিকে আধুনিকায়ন করা হয়েছিলো। কিন্তু দেশে চলচ্চিত্রের বাজারের ধারাবাহিক মন্দায় ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক। আসছে রোজার ঈদে উৎসবের সিনেমা চালিয়ে সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইফতেখার নওশাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিনেমা নাই, কী করবো হল চালু রেখে। যে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেইগুলো তো সিনেপ্লেক্সের সিনেমা। আমাদের হলে চালানোর মতো না। বছরে এত লস গুনে গুনে তো টিকে থাকা যায় না। তাই আসছে রোজার ঈদের সিনেমা চালানোর পর চিরতরেই মধুমিতা বন্ধ করে দেবো।’
জানা যায়, সিনেমা হলটি ভেঙে সেখানে উঠবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। তবে সেখানে মাল্টিপ্লেক্স থাকবে বলেও জানিয়েছেন নওশাদ।
গণমাধ্যমকে ইফতেখার নওশাদ আরও বলেন, ‘এটা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলেও এই শহরের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটা ইমোশন, নস্টালজিয়া। কিন্তু পারছি না। বাধ্য হয়েই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তবে নতুন ভবনে মাল্টিপ্লেক্স করার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক কতটা কি করতে পারি।’
উল্লেখ্য, প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়েছে মধুমিতা হল। ১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হল উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।