
জুমবাংলা ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ৩৭টি জেলায় সর্বমোট এক হাজার ৩২৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৮ হেক্টর। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৫১ কৃষক।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ও তা মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয়সহ এর অধীন সকল দপ্তরসমূহ করোনা ঝুঁকির মধ্যেও অত্যন্ত সজাগ, সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছি তাতে ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কাটিয়ে উঠা যাবে।’
আবার বন্যা না হলে এ ক্ষয়ক্ষতি খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ২১৩ হেক্টর জমির আউশ ধান, ৭০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ৭ হাজার ৯১৮ হেক্টর জমির আমন বীজতলা। টাকার হিসাবে আউশ ধান ৩৩৪ কোটি, আমন ধান ৩৮০ কোটি টাকা, সবজি ২৩৫ কোটি এবং ২১১ কোটি টাকার পাটের ক্ষতি হয়েছে।
বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য বিভিন্ন প্রণোদনার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
আরও প্রায় ৭৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসূচির আওতায় ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলায় মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৯২ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ/ চারা ও সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির প্রস্তাব করা হয়েছে, বলেন কৃষিমন্ত্রী।
এ সময় কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



