সংসার ভাঙছে বলিউড অভিনেত্রী ঊর্মিলা মাতণ্ডেকরের। বিয়ের আট বছর পর স্বামী মহসিন আখতার মীরের থেকে ডিভোর্স নিচ্ছেন তিনি। রই মধ্যে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনও করেছেন অভিনেত্রী।
হঠাৎ কেন সুখী দাম্পত্য জীবনে ফাঁটল ধরেছে এই জুটির? দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ভক্তদের মাঝে।
২০১৬ সালে বিয়ে করেন ঊর্মিলা এবং মহসিন আখতার মীর। ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হয়েছিল তাদের। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই হয়েছিল শুভ পরিণয়।
ঊর্মিলা ও মহসিনের বিয়ে নিয়ে অনেক মজাদার তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মাঝে বয়সের ব্যবধান ১০ বছরের। এমনকী মহসিনকে বিয়ে করার জন্য ঊর্মিলা ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল। যদিও ঊর্মিলা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মলহোত্রার পার্টিতে প্রথম দেখা হয় ঊর্মিলা এবং মহসিনের। মণীশের ভাইঝির বিয়েতে দেখা হয়েছিল দু’জনের। প্রথম দেখাতেই ঊর্মিলার প্রেমে পড়ে যান মহসিন। তাদের দু’জনের শুধু ভিন্ন ধর্মে বিয়েই হয় না, চিন্তাভাবনাও ছিল অন্যরকম। কিন্তু ভালোবাসার কাছে সমস্ত ভেদাভেদ তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল।
মহসিন মুসলিম এবং ঊর্মিলা হিন্দু। তবুও তিনি অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে অনড় ছিলেন। ২০১৬ সালে তারা প্রথমে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন এরপর ইসলাম ধর্মানুসারে বিয়ে সারেন।
সূত্রের খবর, এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকছেন না। দু’জনেই আলাদা থাকছেন। এমনকী এ কথাও শোনা যাচ্ছে, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদও পারস্পরিক সম্মতিতে হচ্ছে না।
ঊর্মিলা এবং মহসিনের ৮ বছর হয়েছে বিয়ের। তবে তাদের কোনও সন্তান নেই। ভক্তরাও তাদের এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করেছেন।
ঊর্মিলা এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথাও বলেছিলেন। ‘ইটাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি মা হওয়ার কথা ভাবছি না। হওয়ার হলে হবে। আমি কোনও আশাও করছি না। আমি যে এটা নিয়ে ভাবছি না তা নয়। তবে প্রত্যেক মহিলারই মা হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। আমি বাচ্চা ভালোবাসি। কিন্তু এমন অনেক বাচ্চা আছে, যাদের আমাদের ভালোবাসা এবং যত্নের প্রয়োজন। শুধু গর্ভজাত সন্তান হতে হবে এমন কোনও বিষয় নেই।’
মহসিন খান একজন কাশ্মীরি মুসলিম এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মডেল। তিনি ‘বিএ পাস’, ‘লাক বাই চান্স’ এবং ‘মুম্বই মাস্ত কালান্দার’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি কাশ্মীরি এমব্রয়ডারির ব্যবসা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।