জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের দুই আলোচিত ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মোট ৮৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জজ ইমরুল কায়েশ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ আদেশ দেন।
আদালত ওই আদেশে জব্দ করা হিসাবগুলি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেরিজেন্স ইউনিটের (ডিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপককে তদন্ত করে দেখার আদেশ দিয়েছেন।
জব্দ ৮৮টি হিসাব ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বরখাস্ত হওয়া সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, তার শ্বশুর রেজাউল করিম পান্নু এবং বরকতের ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বরখাস্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমারাজ পুনম এবং রুবেলের শ্বশুর আব্দুস সাদেক মুকুলের নামে।
বরকত ও রুবেলের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির ঢাকার পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মেট্রপলিটন পশ্চিম বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, সিআইডি এ মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তকালে বরকত ও রুবেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের পোষ্যদের নামে ৮৮টি ব্যাংক হিসাব পান। এ হিসাবগুলি জব্দ করার জন্য সিআইডি ঢাকা মাহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন জানালে আদালত এ আদেশ দেন।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেফতার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।