জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের হিজলা উপজেলায় আজ দুইজন সরকারি উপদেষ্টার সফর নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এবং নৌ-পরিবহন খাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এ সফরটি মূলত জলযান এবং স্থানীয় উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের সমাধানে উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই পরিদর্শন প্রকল্পটির ক্ষতিকর উদ্দেশ্য প্রয়াস করার চেষ্টার গতিবেগ প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়।
Table of Contents
সরকারি উপদেষ্টাদের সফর: প্রকল্পের বাস্তবতা যাচাই
আজ সকালে দুইজন উপদেষ্টা—ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন—হিজলার পুরাতন লঞ্চ ঘাট এবং মৌলভীর হাট লঞ্চ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করবেন। দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্যক্ত এসব ঘাট পুনরায় চালুর জন্য বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পটি মূলত বালু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যা তাদের বসতভিটাগুলোর জন্য হুমকি।
২০১২ সাল থেকে প্রকল্পটি অগ্রসর হয়নি এবং এখন নতুন করে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হওয়ায় местные жители ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তাদের বক্তব্য, যদি প্রকল্পটি শুধুমাত্র নৌযান চলাচলের জন্য হতো, তবে এতদিন কেন কাজ করা হয়নি? প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রকল্পের উদ্দেশ্য আরও গভীর এবং মূলত এটি একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করার জন্য করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়দের মধ্যে প্রচুর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন যে, প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির স্বার্থে বালুর ব্যবসা চলছে। তারা আশঙ্কা করেছেন যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তারা তাদের মৌলিক অধিকার হারাবেন। স্থানীয় এক গৃহকর্ত্রী বলেন, “আমরা চাই, সরকার আমাদের অধিকার রক্ষা করুক এবং প্রকল্পের সঠিক উদ্দেশ্য জনগণের প্রতি বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেয়।”
এদিকে, উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছে, স্থানীয়দের সমস্যাগুলো গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করা হবে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কৌশল প্রণয়ন করবেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণ খুবই আশাবাদী যে, উপদেষ্টাদের উপস্থিতি প্রকৃত তথ্য বের করার সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং প্রকল্প থেকে লাভবান হওয়ার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পরবর্তী পরিকল্পনা: মতবিনিময় সভা ও অভিজ্ঞতা শেয়ারিং
আজ বিকাল ৩টায়, দুই উপদেষ্টা হিজলা উপজেলা থেকে বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সংযোগ সেতুর কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। পরে, আগামীকাল তাদের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে যেখানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এই সভাটি কিভাবে প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, সেটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সরকারি কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসন কিভাবে জটিলতা কাটিয়ে উঠবে, তা নিয়ে সকলের মধ্যেই আগ্রহ ও অপেক্ষা রয়েছে। সরকারী উপদেষ্টারাই সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ করে তাদের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার এবং প্রকল্পের বাস্তবতা জানাতে কাজ করবে কি না, সেটি পরবর্তী উৎসাহের বিষয়।
এছাড়া স্থানীয়রা আশা করেন, উপদেষ্টাদের পরিদর্শনের ফলে প্রকল্পের সঠিক তথ্য উঠে আসবে এবং নৈতিকতার প্রশ্নে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তারা চান জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।
FAQ
উপদেষ্টাদের সফরের উদ্দেশ্য কি ছিল?
উপদেষ্টাদের সফরের উদ্দেশ্য ছিল হিজলা উপজেলায় ঘাটের পরিস্থিতি এবং প্রকল্পের বাস্তবতা পরিদর্শন করা।স্থানীয়দের অভিযোগ কি ছিল?
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পটি মূলত বালুর ব্যবসার স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, যা তাদের বসতভিটাগুলোর জন্য হুমকি।উপদেষ্টারা কবে পরিদর্শন করবেন?
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আজ হিজলা উপজেলায় পরিদর্শন করবেন।স্থানীয়দের প্রত্যাশা কি?
স্থানীয়রা প্রত্যাশা করেন যে, উপদেষ্টাদের পরিদর্শন প্রকল্পের সঠিক তথ্য তুলে ধরবে এবং সরকারি সিদ্ধান্তগুলি তাদের স্বার্থের উপর ভিত্তি করে হবে।- মতবিনিময় সভা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
মতবিনিময় সভা বরিশাল বিভাগের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।