জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে বিএনপির সমাবেশে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আমাকে ফেরি পার হতে বাধা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। বরিশালে এসেও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। দেশে যে গণতন্ত্র নেই এটাই তার প্রমাণ।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর জিলা স্কুল মাঠে দলের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তারা। সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির অভিযোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব এবং বরিশাল মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইশরাক হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, রাজনৈতিক জীবনে আজ প্রথম ঢাকার বাইরে কোনো সমাবেশে অংশ নিতে এসে পথে পথে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাকে ফেরি পার হতে বাধা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। বরিশালে এসেও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। দেশে যে গণতন্ত্র নেই এটাই তার প্রমাণ। এখন সবার আগে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নামতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ঢাকার ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল, চট্টগ্রামের ডা. শাহাদাৎ হোসেন, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান, বিলকিস জাহান শিরিন, মেসবাহ উদ্দিন ফরহাদ, বিএনপি নেতা হায়দার আলী লেনিন, নূরুল ইসলাম নয়ন, মোরতাজুল করিম বাদরু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আকন কুদ্দুসুর রহমান, এবায়েদুল হক চান, আবুল কালাম শাহিন, জিয়াউদ্দিন সরদার, স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম মোল্লা, আক্তারুজ্জামান শামিম, আনোয়ারুল হক তারিন এবং মো. তসলিম প্রমুখ।
এর আগে এদিন সকালে ঢাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন ইশরাক। সকালে মাওয়া ঘাটে পৌঁছালে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি লঞ্চে করে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছান। সেখানে সঙ্গীদের নিয়ে তিনি পৌঁছালে ঘাট এলাকার সব যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় এক নেতার গাড়ি নিয়ে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইশরাক হোসেন। যদিও তার সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা ঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।