জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে আরেক প্রধান শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রোমাঞ্চ আহমেদকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন শিক্ষা অফিসার মো. আকবর কবীর। অপর তদন্তকারী হলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মনীরুল হক।
১৬ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে প্রধান শিক্ষক মো. মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাকরি দেয়ার নামে ঘুষ, শিক্ষক বদলি বাণিজ্যসহ ১৭টি অভিযোগ করে সচেতন নাগরিক। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির এক নেতার ফেসবুক আইডিতে প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও অপর এক প্রধান শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, দুই সন্তানের জননী ওই শিক্ষিকা বর্তমানে উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
শিক্ষক মোক্তার হোসেন বিভিন্ন সময় ওই প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে কাজ দিতেন। প্রধান শিক্ষিকা ওই বাসায় গেলে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন মোক্তার হোসেন। একপর্যায়ে দুজনের প্রেম হয়। প্রধান শিক্ষিকার শর্তসাপেক্ষে মোক্তার হোসেন তার প্রথম স্ত্রীকে ২৭ সেপ্টেম্বর নোটারির মাধ্যমে তালাক দেন। ২৯ সেপ্টেম্বর নোটারির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার কাবিনে ওই প্রধান শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন।
এদিকে, বিয়ের পরও মোক্তার হোসেন প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর অধিকার পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন শিক্ষক মোক্তার হোসেন। পরে বিয়ের আগে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেন।
দুই সন্তানের জনক উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি গ্রামের মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার কর্মক্ষেত্রে সাধারণ পরিচয় ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন।
অপরদিকে, ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মোক্তার হোসেন আমার জীবন শেষ করেছে। আপনারা তার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দেন।
মোক্তার হোসেনের প্রথম স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিতে পারে না। ওই প্রধান শিক্ষিকা তাকে ফাঁদে ফেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান তিনি।
বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান সিকদার ও যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুজনেই জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওই শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা সমাজে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে মুখ দেখাতে লজ্জা পাচ্ছি। প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন এবং ওই প্রধান শিক্ষিকা দুইজনই বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তালিকায় রয়েছেন। এখন তারাই বাবুগঞ্জে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে শিক্ষক সমাজকে কলঙ্ক করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।