শুভব্রত দত্ত, বাসস: বর্তমান সরকার বরিশাল জেলায় বিগত ১০ বছরের ব্যাপক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যা রাষ্ট্র ও সমাজ-জীবনের বিশেষ ভূমিকা রাখবে এমনটি মনে করছেন জেলার বিশিষ্টজনেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১০-২১ অর্থ বছরে জেলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো যথাক্রমে, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় অধীনে বরিশাল র্যাব-৮ কমপে¬ক্স নির্মাণ, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ব্যারাক ভবন নির্মাণ, একাধিক পুলিশ ফাঁড়ি ও ব্যারাক নির্মাণ, জেলা পুলিশ সুপার অফিস ভবন নির্মাণ (সিআইডি ও পিবিআই অফিসসহ), বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ (আরআরএফ) পুলিশ লাইন নির্মাণ, বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ ,জেলা সদরে ও ব্যাটালিয়ন সদরের আনসার ও ভিডিপি’র ব্যারাক সমূহের ভৌত সুবিধাদি সম্প্রসারণ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডবুরী ইউনিট সম্প্রসারণ, মহিলা কারারক্ষীদের জন্য আবাসন ভবন নির্মাণ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেস্টিং ল্যাবরেটরী স্থাপন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘অনলাইনে গণগ্রন্থাগার সমূহের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প, বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অধীনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এর অধীনস্ত ১৯৬০ দশকে বাস্তবায়িত হাউজিং এষ্টট সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন ও পুনর্বাসন।
বাণিজ্য মন্ত্রণাপলয়ে অধীনে ই-বাণিজ্য করবো ,নিজের ব্যবসা গড়বো প্রকল্প। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প” , “জেলা ভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প’’ , নগর ভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প, ইনকাম জেনারেটিং একটি ভিটিস অফ উইমেন এ্যাট উপজেলা লেভেল, “কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন” , “অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প ”, শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা প্রকল্প, জেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা প্রদান প্রকল্প।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মসজিদ পাঠাগার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করণ প্রকল্প, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সম্পর্কিত সচেতনা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় পর্যায়ে ও জেলা লাইব্রেরীতে পুস্তক সংযোজন ও পাঠক সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্প, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধিনে “লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, “সারাদেশের ন্যায় বরিশালের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন” জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ত অবকাঠামো উন্নয়ন, ইনফো-সরকার, “প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন” ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রতিটি উপজেলায় আশ্রায়ণ-২ প্রকল্প।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণ ও পুননির্মাণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ মিত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ, ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্য ভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, জেলায় মেরিন একাডেমি ভবন স্থাপন, ডিটেইলড স্টাডি অন ৪৮ রিভারস ফর বিল্ডিং ডাটাবেজ এন্ড কনজারভেশন অফ রিভারস ফ্রম পলুশন,ইলিগাল অকুপেশন এন্ড আদার এবিউস অফ রিভারস প্রকল্প, জেলায় ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ খনন, অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ২৪টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন প্রকল্প।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলার গৌরনদী উপজেলায় টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ভবন স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছরের বরিশালসহ দেশের প্রতিটি জেলাকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ও নির্মানাধীন প্রকল্পগুলোর গুনগত মান, অনুমোদিত ডিজাইন ও প্রাক্কালন অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে। যার প্রতিফলন ভবিষ্যত প্রজন্মও ভোগ করবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, এ অভাবনীয় সাফল্যের অন্যতম কারণ বর্তমান সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস। সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১০ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বিশেষ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পায়রা সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভিন্ন মহাসড়কে ফোরলেন রাস্তা দৃশ্যমান হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। দুস্থ, অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়েছে। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের হার কমেগেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।