জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা (ইস্যু ক্লার্ক) বনি আমিনের বিরুদ্ধে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই সন্তানের জনক বনি আমিন নগরীর গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক পদবী ধারী নেতা।
নির্যাতিতা সেই ছাত্রীকে গত সোমবার রাতে ঝালকাঠি থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রজ্জু করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত রবিবার ক্লাস শেষে বাড়ি উজিরপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে শহরের নথুল্লাবাদ পৌঁছানোর পরে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বনি আমিন। পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একটি আবসিক হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ওই রাতে কিশোরীর মা এয়ারপোর্ট থানায় অপহরনের অভিযোগ দেন। বনি আমিন বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীকে ঝালকাঠি তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে সটকে পড়ে। ওই রাতে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়।
বনি আমিনের পারিবারিক সূত্র জানায়, গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা বনি আমিনের ভাতিজির সাথে নির্যাতিতা পড়াশোনা করতো। এই সুবাদে তাদের বাসায় যাওয়া-আসায় বনির সাথে তার পরিচয় হয়। বনি আমিনকে চাচা বলে ডাকতো নির্যাতিতা।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাহিদ বিন আলম জানান, কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এদিকে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি লাইব্রেরীয়ান মধুসুদন হালদার বলেন, এই অভিযোগের সত্যতা এবং মামলার কাগজপত্র পেলে ভিসির মাধ্যমে বনি আমিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।