জুমবাংলা ডেস্ক : রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত একটি রেললাইন বানানো হবে। সেটি আটটি জেলাকে যুক্ত করবে। কিন্তু এই অঞ্চলের মাটি ভালো না, তাই পুরো লাইনটি হবে এলিভেটেড (উড়াল)।
মাদারীপুরের শিবচরে আজ ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেন ও ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে চন্দ্রনা কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধনকালে তিনি এই তথ্য জানান।
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙা-রাজবাড়ী রুটে কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ট্রেন দু’টির উদ্বোধন ঘোষণা করেন রেলপথ মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে এই পথে আরেকটি ট্রেন আমরা চালু করবো। আবার আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চালু হবে।’
ওই ট্রেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন , ‘আমরা চিন্তা করছি, রেলে বর্তমানে দুইটা জোন আছে, আরও দুইটা জোন তৈরি করা হবে। এর একটা হবে ভাঙ্গা-ফরিদপুর, এটির জোনাল অফিস হবে ভাঙ্গায়। এতে করে ভাঙ্গায় রেলের সেবা আরও বাড়বে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা উপহার হিসেবে রেল সংযোগে ভাঙা-ফরিদপুরকে যুক্ত করেছেন।
ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা হবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জাংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
আগামী জুলাই থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জুলাইয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা-মধুমতী সেতু হয়ে যশোর দিয়ে ট্রেন যাবে। ফলে এই রুটে খুলনা পর্যন্ত দূরত্ব অর্ধেকেরও বেশি কমে যাবে, কমবে যাত্রার সময়ও। মাত্র চার ঘণ্টায় তখন ঢাকা থেকে খুলনায় যাওয়া সম্ভব হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পদ্মা সেতু দিয়ে মাত্র চারটি ট্রেন চলছে; যা মোটেও লাভজনক নয়। তাই পদ্মা সেতু দিয়ে চার রুটে চলতি বছরেই নতুন আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই চার রুট হচ্ছে ঢাকা-যশোর-খুলনা, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল, ঢাকা-ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ এবং ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা।
তিস্তার বুকে দৃশ্যমান স্বপ্নের সেতু, কৃষি ও পর্যটনে সম্ভাবনার হাতছানি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।