আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার কানাডার বর্ণবাদবিরোধী র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও।
কানাডার পার্লামেন্টের সামনে ‘নো জাস্টিস = নো পিস’ নামক র্যালিটিতে ট্রুডো একটি কালো মাস্ক পরে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় ট্রুডোর সঙ্গে তার দেহরক্ষীরাও ছিলেন। র্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রুডো তিনবার হাঁটু গেড়ে বসে পরেন। এর মাধ্যমে তিনি ফ্লয়েডের প্রতি পুলিশের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানান।
এছাড়া র্যালিতে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান দেন। তবে র্যালিতে কোন বক্তব্য রাখেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বর্ণবাদবিরোধী র্যালিতে অংশ নিয়ে সিসি আখিগবে নামের ২৪ বছর বয়সী এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের সাথে অন্যায় আচরণ করা হয় এবং এতে আমরা ক্লান্ত।
গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটে অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করে। পুলিশ হেফাজতে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড। ওইদিন এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।এই সহিংস আন্দোলন ঠেকাতে বিতর্কিত কার্যকলাপ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্দোলনকারীদের ভয় কখনো বাঙ্কারে গিয়ে লুকিয়েছেন ট্রাম্প, আবার কখনো হিংস্র কুকুর এবং ভয়ঙ্কর অস্ত্র দিয়ে আন্দোলন দমানোর কথা শুনিয়েছেন তিনি। এছাড়াও আন্দোলন দমাতে ওয়াশিংটনে সেনাও নামান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।