কাবির আবদুল্লাহ, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফপিই) ডিগ্রির ১৮ টি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দুইদিন ব্যাপী পুনর্মিলনী ২০২৩ পালিত হয়েছে।
বিগত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন আর ঘোড়ার গাড়ি সজ্জিত শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির শিক্ষক, কর্মচারী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
শোভাযাত্রা শেষে বেলা সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মফিজুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন অতিথি ও শিক্ষকরা। এরপর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ ও অনুজদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
ঐদিন বিকেলে বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যারিয়ার ডিসকাশন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ২য় দিন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, কালার ফেস্ট ও অগ্রজ-অনুজ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী-২০২৩ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য যে, ২০০৫ সাল থেকে চালু হওয়া তিনটি বিভাগের সমন্বয়ে ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির এই পর্যন্ত ১৪ টি ব্যাচ অধ্যয়ন শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন এবং ৪ টি ব্যাচ চলমান রয়েছে। এই ডিগ্রির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিসিএস, সরকারি, বেসরকারি দেশ বিদেশের প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত আছেন। এফপিই ডিগ্রির এই মিলনমেলায় ১৮ টি ব্যাচের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।