জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা গেছেন। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবুদল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে একটি বর্ণাঢ্য জীবনের পরিসমাপ্তি হলো। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অনেক কারণেই সরব থাকবেন তিনি। বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সংবিধানের ৫ম, ৭ম ও ১৩তম, ১৬ তম সংশোধনী মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাদের মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মো. কামরুজ্জামান, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপরাধীদের সাজা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করেছেন। এ ছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাহবুবে আলম ব্যক্তি জীবনেও ছিলেন একজন সফল মানুষ। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সালে পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও সভাপতি। দায়িত্ব পালন করেছেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের। ২০০৯ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।