বর্ণালি হলো আমাদের চোখে দৃশ্যমান আলোকরশ্মির সম্মিলিত রূপ। আমরা দিনের বেলায় যে সূর্যালোক দেখি, তা সাদা রঙের বলে মনে হয়। আসলে এটা সাতটি রঙের সংমিশ্রণ। বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের আলোকরশ্মির সবটুকু আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না।
আমাদের চোখ শুধু ৩৮০ থেকে ৭৫০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো দেখতে পারে। এর চেয়ে ছোট বা বড় দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি আমাদের চোখ দেখতে পারে না। যেমন এক্স–রে, গামা আলোকরশ্মি বা অতিবেগুনি রশ্মি।
এগুলো আমরা দেখি না, কিন্তু এদের অস্তিত্ব রয়েছে। যে সাতটি রঙের মিশ্রণ আমাদের চোখে ধরা পড়ে, তাদের সম্মিলিতভাবে আমরা বলি ‘বেনীআসহকলা’। ইংরেজিতে বলি ‘ভিবজিওর’। রং সাতটি হলো বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
ছোট থেকে বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে নামগুলো সাজানো হয়েছে। এক প্রান্তে রয়েছে সবচেয়ে ছোট দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বেগুনি রং, অপর প্রান্তে সবচেয়ে বড় দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল রং। বৃষ্টির পর আকাশে পানির বিন্দু ভেসে বেড়ায়। এই সময় মেঘের ফাঁকে সূর্য উঁকি মারলে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রশ্মি বিভিন্ন কোণে প্রতিসরিত হয়ে পাশাপাশি সাতটি রঙের একটি চওড়া রঙিন বন্ধন হিসেবে দেখা যায়।
এই রঙের ছটা আকাশে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে ফুটে ওঠে। আমরা একে বলি রংধনু। সাধারণ ভাষায় আমরা এই রংধনুকেই বর্ণালি বলি। একটি কাচের প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি অতিক্রমের সময় একইভাবে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রশ্মি বের হয়ে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।