আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বরযাত্রী কনের বাড়িতে পা রাখতেই লম্বা দোনলা বন্দুকের মুখ ছিটকে পরপর তিনটে গগনভেদী আওয়াজ। শূন্যে গুলি ছুড়লেন কনের চাচা। পারিবারিক পরম্পরায় ‘গার্ড অফ অনার’! গত বুধবার রাতে ভারতের কাটোয়ার টেলিফোন ময়দানের এই ঘটনায় তোলপাড়। সেখানকার মাধবীতলার মণ্ডলবাড়ির এটাই দুই পুরুষের রেওয়াজ। যখন থেকে তাদের জমিদারি তখন থেকে এমনটাই দেখে আসছে সে বাড়ির রোয়াক-দালান। পাত্র হোক বা পাত্রী, বিয়ের দিন বর-কনেকে এভাবেই অভ্যর্থনা জানান বাড়ির বর্তমান প্রবীণতম অভিভাবক।
কনের চাচা রমণী মণ্ডল বাড়ির প্রবীণতম অভিভাবক, এদিন তিনি পরপর শূন্যে তিনটে গুলি চালান। এ বন্দুকটি ছিল লাইসেন্স করা। হলে কী হবে! হালের কাটোয়া শহরে এমন ঘটনা বিরল হয়ে গিয়েছে। এখন গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে। এই বুঝি খুন হয়ে গেল পড়শি কেউ।
গুলির আওয়াজ শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পাড়া-পড়শিরাদের মধে। কানে কানে খবর ছড়াতে সময় লাগেনি। শহর কাটোয়া তো রীতিমতো তোলপাড়। গুলির শব্দের থেকেও দ্রুতগতিতে ভাইরাল কনের ছবি। সেই দোনলা হাতে দাঁড়িয়ে। কনের বেশেই। খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। হকচকিয়ে যায় পরিবারের লোক। বন্দুকটি হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হয়। সাথে তার লাইসেন্সও নিয়ে যায় পুলিশ। বিয়ে শেষে বাড়ির ভুরিভোজও তখন বোধহয় শেষ হয়নি। শুধুমাত্র বিয়ে বাড়ি বলেই বোধহয় ছাড়। পরে থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে রমণী মণ্ডলকে। এখন অবশ্য দিনকাল বদলেছে। বিয়ে বসেছিল এলাকার একটি লজে।
মাধবীতলার মণ্ডল পরিবারের কনে পায়েলের বিয়ে হয়েছে মাস্টারপাড়ার সৈকত মণ্ডলের সঙ্গে। কনের চাচা জানিয়েছেন, ‘পারিবারিক শুভ কাজে আমাদের বংশ পরম্পরা বজায় রাখতেই শূন্যে গুলি ছুঁড়ে গান স্যালুট দিয়ে থাকি। এদিনও তা-ই করা হয়েছে।’ কিন্তু রেওয়াজ হলেও এভাবে গুলি চালিয়ে বিয়ে বাড়িতে হুল্লোড় করতেও যে পুলিশের অনুমতি লাগে, তা জানা ছিল না মণ্ডল বাড়ির। সে কথাই জানাচ্ছে পুলিশ। সে কারণেই লাইসেন্স থাকলেও বন্দুক আর তার লাইসেন্স দু’টিই আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।