স্পোর্টস ডেস্ক : সিনিয়র ক্রিকেটাররা হুটহাট অনিয়মিত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুরো টিমে। দল সাজাতেও হিমশিম খাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এতে টাইগারদের স্বাভাবিক খেলাটা দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এজন্য পরের সিরিজগুলোর জন্য শিগগিরই একটা সিদ্ধান্ত পৌঁছাবে বিসিবি।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলেননি সাকিব আল হাসান। পরের সিরিজেই সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল৷ ভারত সফরের আগে সাকিব হন নিষিদ্ধ। পাকিস্তান সফরে তামিম ফিরলেও সরে দাঁড়ান মুশফিক। এতো ডামাডোলের কারণে হিসেব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
পাপন বলেন, ‘অনেকদিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা তাদের খেলা না। আমার কাছে মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছিল, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এই ফরম্যাটে সাধারণত যেভাবে খেলি এটা সম্পূর্ণ উল্টো মনে হয়েছে আমার, তাদের মাঝে সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিগত বছরগুলোতে এমনটি আগে কখনো দেখেনি। ৯০’র ঘরে গিয়ে বিনা উইকেটে থেকেও আমরা রান করতে পারছি না। ১২-১৪ ওভার যাওয়ার পরও আমরা ডিফেন্সিভ খেলছি, এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয়া, তারপর পুরোটা সময় ডিফেন্সিভ ক্রিকেট খেলা, সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর মতো ব্যাটসম্যানের লোয়ার অর্ডারে নামা, সবকিছুই অদ্ভুত লেগেছে বিসিবি সভাপতির । কারণ জানতে চেয়েও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে মেলেনি কোনো সদুত্তর।
তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আসলে সিদ্ধান্তটা কে নেয়? টস জিতে ব্যাটিং নেবে কি নেবে না, টস জিতলে কি করবে- এসব সিদ্ধান্ত কে নেয় এটা নিয়ে আমি কনফিউজড। রিয়াদ তো এমনিতেই খুব কম কথা বলে, তারপরও আমি তামিম ও রিয়াদের সঙ্গে প্রচুর কথা বলেছি। প্রথম ম্যাচের পর এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচের পরও।’
টাইগারদের ২০২০ এফটিপি অনুযায়ি বেশিরভাগ ম্যাচ খেলতে হবে আওয়ে ভেন্যুতে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এ বছরই। বিসিবি সভাপতি তাই বলছেন, সঙ্কটের সমাধান করতে হবে দ্রুতই।
বিসিবি সভাপতি বলেন, মোটকথা বলতে পারেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার দুই ম্যাচ এবং আনুসঙ্গিক বিষয নিয়ে কথা হয়েছে। তবে কোচের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। কোচের সাথে বসলে কথা বললে জানা যাবে, সিদ্ধান্তটা কে নিচ্ছে এবং কেন এই ভুলগুলো হচ্ছে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।