
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবিয়ি বলেছেন, ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে ইরান এবং ৫ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মৌলিক ইস্যুতে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার যা প্রধানত ওয়াশিংটনের কাছ থেকে আসতে হবে। খবর পার্সটুডে’র।
তিনি বলেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব পক্ষ কিভাবে সহযোগিতা করবে তা নিয়ে মোটামুটি প্রায় সব ধরনের আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক সমঝোতাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ইস্যুতে সামান্য কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে যা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। পরমাণু সমঝোতায় ফেরার ব্যাপারে এখন আমেরিকার পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির দপ্তরের মুখপাত্র আলী রাবিয়ি।
ভিয়েনা আলোচনায় যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাতে সব পক্ষ পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সহযোগিতা করবে, যেমনটি সহযোগিতা করা হচ্ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার আগে।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইরান এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা সই হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে তিনি একতরফাভাবে চুক্তি লঙ্ঘন করে আমেরিকাকে সমঝোতা থেকে বের করে নেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবার এই সমঝোতায় ফেরার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন এবং এ নিয়ে ইরানের সঙ্গে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন ভিয়েনায় আলোচনা চালাচ্ছে। আমেরিকা যেহেতু পরমাণু সমঝোতার এখন কোনো পক্ষ নয় সে কারণে তাদেরকে এই আলোচনায় রাখা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।