জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, দলের নামে কেউ যেন অন্যায় না করে। দল টিকে থাকলে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন, সংসদ সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু দল না থাকলে আপনারা কেউ নাই। ক্ষমতায় গিয়ে বসন্তের কোকিলদের নিয়ে চললে হবে না। আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলের প্রয়োজন নেই। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মী ও দুঃসময়ের কাণ্ডারিদের মনে রাখতে হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমেলা মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ট্রাকমঞ্চ করে নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গন্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই মাস আগে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, একই দিকে এই বিএনপির কর্মসূচির অর্থ সংঘাতের উসকানি দেওয়া। বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গন্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝে না। অনেক ছাড় দিয়েছি, এবার ছেড়ে দেবো না। প্রস্তুত হয়ে যান, এবার ছেড়ে দেবেন না। এরা ক্ষমতা ফিরে পেতে পাগল হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। এখন বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পাড়া মহল্লায় কেউ বিএনপি বলে পরিচয় দেয় না। কারণ তারা জানে, বিএনপির কথায় কাজে মিল নেই। বিএনপি নেতাদের কোনো খবর নেই, কর্মীদের মনে বল নেই। বিএনপি এখন নদীতে পড়ে গেছে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য একদিনও বিশ্বকাপের খেলা দেখতে কারও সমস্যা হয়নি। কেউ বলতে পারবে না এমনটা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। সূত্র – বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।