জুমবাংলা ডেস্ক: বসুন্ধরা প্রকল্পের এন ব্লকে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘বসুন্ধরা বাজার প্রতিদিন’ সুপার মল। প্রায় দশ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে নয়নাভিরাম স্থাপত্যশৈলীর এ ভবন।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে শপিং মলটি নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বসুন্ধরা বাজার প্রতিদিন সুপার মলের ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এদিন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রকৌশল এবং স্থাপত্য শাখার কর্মকর্তারা প্রথম পাইলিংয়ের কাজটি শুরু করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রুপটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামী দুই বছরের মধ্যে ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আধুনিক মলটির নির্মাণ করছে বসুন্ধরা প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চার লাখ স্কয়ার ফিটের বেজমেন্টসহ সাত স্টোরেজ বিশিষ্ট হবে সুপার মলটি। কেনাকাটার সুবিধার্থে ক্রেতাদের জন্য কাঁচাবাজার থাকবে বেজমেন্টে। প্রথম তলায় থাকবে সুপার শপ, গৃহস্থালি সামগ্রীর, মুদি-নিত্যপণ্যের দোকান, ফার্মেসি, প্রসাধনী সামগ্রী, সেলুন ও বিউটি পার্লার, লন্ড্রি, বেকারি-মিষ্টিসহ অন্যান্য দোকান।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পোশাক, দর্জি, লাইফস্টাইল শপ, সিগনেচার শপ ও আলাদা সুপারশপ; চতুর্থ তলায় জুয়েলারি, লেদার পণ্য, জুতা, অ্যাক্সেসরিজ ও ঘড়ি; পাঁচ তলায় পাওয়া যাবে টিভি, কম্পিউটার, ফ্রিজ, এসি ও মোবাইল ফোনসহ ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী।
ছয় তলায় থাকবে ইনডোর ফুডকোর্ট, বাচ্চাদের খেলার জোন ও ডে কেয়ার সেন্টার। এখানে অভিভাবকরা শিশুদের রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। ভবনের সাত তলায় অর্থাৎ টপ ফ্লোরে থাকবে ওপেন ট্যারেস ফুড কোর্ট ও অবজারভেশন টাওয়ার। প্রতিটি ফ্লোরে চা, কফি, আইসক্রিম ও জুসের দোকানসহ ছবি তোলার জন্য ফটো বুথও রাখবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
শপিং মলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মাংস এবং মাছ প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা ও শাকসবজি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকবে। মলটিতে একসঙ্গে স্বয়ংক্রিয় বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।
মলের প্রথম তলা ও বাইরে যেকোনো পণ্যের বিপণন উদ্বোধনের জন্য উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।