জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার ঈশ্বরদীতে বাড়ছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকনসহ সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম চড়া হওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। এদিকে বাজারে সবজির দাম কমছে। কিন্তু আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। এতে তাদের খরচের তালিকায় বাড়তি টাকা যোগ করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় চালের মোকাম ঈশ্বরদী। এখানে বর্তমানে চাতাল-মিলসহ চার শতাধিক চালকল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চালকলের সংখ্যা ৩০০। অটো রাইস মিল রয়েছে ১৭টি। এসব চাতাল ও মিলে পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ধান কিনে এনে চাল উৎপাদন করেন। এসব চাতাল ও অটো রাইস মিলে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ টন চাল উৎপাদিত হয়।
ধান-চালসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ ঈশ্বরদীর জয়নগর মোকামের পাইকারি বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাসমতি ও মিনিকেটের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।
ব্যবসায়ী হাজী আকমল হোসেন বলেন, ‘আমন ধান বাজারে এলেও চাল দাম বাড়তি।’ তিনি জানান, ‘এক সপ্তাহ আগেও প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম ছিল ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে বেড়েছে বি-আর ২৯, বি-আর ২৮, বাসমতি চালের দাম। বিআর-২৮ ও ২৯ বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বস্তাপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে ছিল।’
ক্রেতা আরশেদ আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগে সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক। এখন দাম অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চালের দাম বেড়েছে। এটি শুনে মন খারাপ হচ্ছে।’
পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও ভাই ভাই রাইস শপের মালিক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে থেকে চালের দাম বাড়া শুরু হয়। তবে এক সপ্তাহ আগে থেকে দাম আরও বেশি বেড়েছে। সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।’ এর কারণ জানতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘ধানের দাম অনেক বেশি। এ কারণে চালের দাম বেড়েছে।’
ব্যবসায়ী ও চাল-কল মালিক গ্রুপ উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি জুলমত হায়দার বলেন, ‘দেশে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। তবে দেশে কিছুটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া ধানের দাম এবার বেশি। কৃষকরা ধান তেমন বিক্রি করছে না। গত বছর যেখানে প্রতি মণ মোটা ধান ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার ওই ধান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার বাসমতি প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব কারণে চালের দাম বাড়তে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।